গল্পোঃ কলেজ প্রেম (লেখকঃমারুফ হাসান) ||
![]() |
| bangla love story |
স্কুল জীবন শেষ করে কলেজ জীবনে পা রাখতে চলেছি তবে সমস্যা হচ্ছে যে কলেজে অামার admission হয়েছে সেখানের কাউকে অামি চিনি না।তবে মনের মধ্যে অনেক অানন্দ উপভোগ করছি, অাজ শনিবার কলেজে প্রথম যাচ্ছি রিক্সা করে কলেজের গেটের সামনে নামলাম ধিরে ধিরে হাটছি.......ওহ যা অাপদের তো অামার পরিচয়ই দেয়া হয়নিঅামি মোঃসম্রাট শাহজাহান খন্দকার বাবা মায়ের বড় সন্তান।তবে মধ্যবিও পরিবারের সন্তান অামি সেই ছোট বেলার স্বপ্ন অাজ পুরন হতে চলেছে বীগত ১০ বছরের সাধনা কলেজ পড়ার।আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে কলেজের মধ্যে ঢুকে পড়েছি যেহেতু নতুন কলেজ তাই সবকিছুই নতুন,কাউকে চিনি না এখনো তেমন কেউ কলেজে অাসে নাই তাইতো শিমুল গাছটার নিচে বসে অাছি হঠাৎ কারো ডাকে পিছনে ঘুরলাম একটা মেয়ে তবে মুখ দেখতে পাচ্ছি না বোরকা পড়া জাইহোক অামার টাতে কোনো সমস্যা নাই, তবে নতুন কলেজ অার এই মেয়েকে তো কখনো দেখি নাই আমাকে চিনে নাকি এসব ভাবতে ভাবতে মেয়েটি বললো Hello I am ahsa moni... অামি বোকার মতো তার দিকে তাকিয়ে অাছি। তারপর সে বললো এই যে ভাইয়া অারস এর স্কাস কোনটা বলতে পারেন।তখন আমি স্বাভাবিক ভাবে বললাম অাসলে অামিও নতুন তবে কমারস এ পড়ি,অার অামার নাম....যেই বলতে যাবো অমনি মেয়েটি চলে গেলো পরে অামিও অামার মতো স্কাস খুজে স্কাসে গেলাম,স্কাস করলাম কিছু বন্ধুও বানিয়ে নিলাম,সেদিনের মতো স্কাস শেষ করে বাড়িতে চলে অাসলাম এভাবে বেশ যাচ্ছিলো অামার দিনগুলি অার এসবের মাঝে ঐ অাশা নামে মেয়েটাকে ভুলেই গিয়েছিলাম.তারপর প্রথম পরীক্ষা শুরু হলো ৩ মাস পর তাইতো সব কিছু বাদ দিয়ে পড়াশুনায় মনোযোগ দিলাম কারন অামাকে জীবনে ভালোকিছু করতে হবে বাবা মাকে দেখতে হবে অামি যে তাদের বড় সন্তান তাদের জন্যও তো অামার কিছু কতব্য রয়েছে।গতকাল পরীক্ষা তাই অাজ রাতে ভালোভাবেই পড়ালেখা করে ১২ টার দিকে ঘুমিয়ে পড়লাম সকাল বেলা ফুফির ডাকে ঘুম থেকে উঠলাম{ ওহ অাপনারা ভাবছেন ফুফি অাসলো কোথা থেকে অাসলে অামি অামার ফুফির বাসায় থেকে কলেজ পড়ছি যা প্রথমে বলা হয়নি}তারপর নাস্তা করে কলেজের উদ্দেশ্য রওনা দিলাম এবং পৌছে রোল অনুযায়ী ছিট খুজে বের করলাম,,,তবে অামার পাসের ছিটটি এখনো ফাঁকা যেহেতু অামি কমারস এর ছাএ সেহেতু এখানে অারস এরি কোনো ছাএের বসার কথা অামার কথা ভুল প্রমান হয়নি তবে ছাএ নয় বসেছে একটা পরীমানে ছাএী তবে সেদিকে অামার কোনো ভ্রুক্ষেপ নাই পরীক্ষা শুরু হলো অাল্লাহর রহমতে ভালোই দিলাম,এভাবে চলতে চলতে শেষের দিন মেয়েটা অামাকে পরিচয় দিলো যে তার নাম অাশা,অামি কিছুক্ষন ভেবে বললম কোন অাশা সে রাগি মুড নিয়ে বলল।তারপর মেয়েটা অামার সাথে অনেক কথা বলল এবং হাতের লেখার প্রশংসা করলো,অাসলে অামিও দেখতাম চুপিচুপি মেয়েটা অামাকে অাঁড় চোখে দেখছে,তবে প্রথম দিন সে বোরকা পড়ে অাসাতে মুখটা দেখতে পারি নাই,তবে অাজ কলেজ ড্রেসে তাকে অনেক সুন্দর দেখতে লাগছে,,এভাবে অল্প অল্প কথা বলতে বলতে অামরা ভালো বন্ধু হয়ে যাই এক সময় অামরা তুই করে বলতে থাকি তবে তার অাগে ও অামাকে ওর ফোন নাম্বার দিয়েছে এবং তার জন্যই অামাদের বন্ধুত্বটা অারো গভির হয়,একটা সময় অামি বুঝতে পারি তাকে অামি ভালোবেসে ফেলেছি,,তাকে ছাড়া আমার জীবন নিঃসহ অামি জানি অাশাও অামাকে মনে প্রানে ভালবাসে তবে ওর ইচ্ছে অামি যেনো অাগে কথাগুলো তাকে বলি {এখন অাপনারা বলবেন কি করে বুঝলাম}অামি অন্য কোনো মেয়ের সাথে কথা বললে অাশা তা মেনে নেয়না,যাইহোক সবকিছু ভালোই যাচ্ছিলো এর মাঝে একদিন একটা ছেলে অাশাকে প্রপোস করেছে এবং অাশা তাকে এমন একটা কথা বলেছে যা শোনার কোনো ইচ্ছে অামার ছিলোনা তার পরিবার তাকে ইন্টার পাস করিয়েই বিয়ে দিবে,কথাটি শুনার পর নিজের অজান্তেই চোখের পানি ঝড়তে লাগলো,,,সবশেষে একদিন অাশা নিজেই অামাকে প্রপোস করে অামি না করতে পারি নাই কারন অামিও তাকে খুব ভালোবাসতাম,,,এভাবেই কেটে গেলো প্রায় ২ টি বছর অাজ অাশার বিয়ে তবে অামার সাথে নয় এক ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথে, বিয়ের অাগে অাশা অামাকে বলেছিলো তাকে নিয়ে পালিয়ে যেতে, অামি পারিনি অাশার কথা রাখতে কারন পালিয়ে গিয়ে হয়তো অামরা সুখে থাকবো কিন্তু অামাদের বাবা মা তারা,,,বাবা মা অনেক কষ্ট করে মানুষ করেছে অামাকে, অামাকে নিয়ে তাদের হাজারো স্বপ্ন অামি অাশাকে সেদিন বুঝাতে পারিনি অামি কেনো তাকে নিয়ে পালায়নি,সে কোনো কথা বলেনি শুধু বিয়েতে যেতে বলেছে,অামি গেলেই নাকি সেটা হবে তার শ্রেষ্ট উপহার। তবে অামি যাইনি সেই সময়টা ছিলাম অামি একা কারন অামাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেরা এভাবেই তাদের জীবন কাটায়,,প্রেম ভালোবাসা তাদের ভাগ্যে থাকেনা।সেদিনই ঐ শহর ছেড়ে চলে এসেচি,অাজও খুব মনে পড়ে তোমার কথা তোমার সাথে কাটানো সময়গুলোর কথা হয়তোবা তুমি খুব সুখেই অাছো সুখেই থাকো এই কামনা করি
writter facebook link

Comments
Post a Comment