গল্পোঃ বোকা ছেলে vs গুন্ডি মেয়ের ভালোবাসা পাঠঃ১ ( লেখক মারুফ হাসান)

bangla letest love story

* সেই ছোট বেলা থেকে অাশা কলেজে পড়বো মনে অনেক স্বপ্ন বাবা মায়ের ইচ্ছা পুরন করবো। অাসলে সত্যি কথা বলতে, অামাদের মতো মধ্যবিও পরিবারের সন্তানদের মনে অনেক স্বপ্ন থাকে।অবশেষে বাবা মায়ের অনেক কষ্টে রোজগারের টাকা দিয়ে পড়ালেখা করে Ssc exam দিয়ে result এর অপেক্ষা করছি। অামি মোঃমনির হাসান বাবা মায়ের ২ য় সন্তান,পরিবারের বড় ছেলে, অামার ছোট একটা বোন ও রয়েছে,যার নাম তিশা। পরিচয় টা না হয় পরে ভালোভাবে জেনে নিবেন এখন অাপাদত গল্পে অাশা যাক। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠলাম মায়ের ডাকে,তারপর ফজরের নামায পড়লাম। তারপর খাওয়া দাওয়া সেড়ে, পুকুড় পাড়ে মন খারাপ করে বসে অাছি,অাসলে মন খারাপের কারন হচ্ছে অাজকে অামার result ভালো ফলাফল না হলে অামি ভালো কলেজে admission হবে না।বাবা মায়ের এতোদিনের কষ্ট বিথা যাবে।এভাবেই থাকতে থাকতে দুপুর হয়ে এলো।সবাই যার যার মতো ফলাফল পাচ্ছে কিন্তু অামি এখনো পাই নাই। network problem.মনে অনেক কষ্ট জমা হচ্ছে সবশেষে এমন একটা কথা শুনলাম যা শুনার পরে অামি কেঁদে ফেললাম।অাসলে এটা হচ্ছে সুখের কান্না অামি GPA 5 পেয়েছি,দৌড়ে বাড়িতে চলে অাসলাম,বাবা মা অনেক খুশি তারপর অনেক কষ্টে টাকা যোগাড় করে বাবা অামাকে শহড়ে একটা সরকারি কলেজে admission করায়।টাকার সমস্যার কারনে অামাকে থাকতে হয় একটা হালকা ম্যাছে। ম্যাছে উঠলাম অাজ গ্রামের কথা অনেক মনে পড়ছে,বাবা মা ছোট বোনকে অনেক মনে পড়ছে নতুন শহড় কাউকে চিনি না তাছাড়া শুনেছি ম্যাছে নাকি বড় ভাইয়েরা অনেক অত্যাচার করে যাইহোক প্রথম দিন কোনো সমস্যা হয় নি পরেরদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠলাম কারোর পানি ঢেলে দেয়াতে,এতো দেরি করে ঘুম থেকে উঠচিস নবাব নাকি তুই,একটা বড় ভাই বলতেছে,অাসলে অামি দেরি করে ঘুম থেকে উঠিনা,গতকাল রাতে সবার কথা মনে করতে করতে অনেক রাত অবদি জেগে ছিলাম,তাইতো সকালে উঠতে দেরি হলো, বড় ভাইয়া বলতেছে যা দোকান থেকে অামার জন্য নাস্তা নিয়ে অায়,অামি ভঁয় পেয়ে জ্বী অাচ্ছা ভাইয়া....... একটু পর ভাইয়া টাকা দেন,,, অামার গালে কোনো একটা শব্দ শুনলাম,মানে ভাইয়া অামাকে চড় মেরেছে ও নানা বাজে কথা বলছে,ঠিক তখনি বুঝলাম টাকাটা অামাকেই দিতে হবে, প্রথম দিন তাই আমার টাকা দিয়েই নাস্তা টা কিনে এনে দিলাম। তারপর গোসল করে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম,একে তো প্রথম দিন তার উপর অাবার মন খারাপ।অাবার কলেজের কোনো কিছুই চিনি না,কোনো বন্ধুই নাই,গেট দিয়ে ঢুকছি অার মনটা ভয়ে ভয়ে কাঁপছে,হঠাৎ পিছন থেকে কেউ ধাক্কা মারলো অামি তাকাতেই যা দেখলাম একটা মেয়ে তবে পরীর চেয়েও বেশী সুন্দরী অামি তার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলাম এতো সুন্দর কেউ হতে পারে। তারপর এই তোর চোঁখ নাই নাকি দেখে চলতে পারিস না,নাকি ইচ্ছে করেই আমাকে ধাঁক্কা দিচিস,মানে সুন্দরী মেয়ে দেখলে মাথে ঠিক থাকেনা তাইতো,নাম কিরে তোর,অামি শুধু হা করে তার কথা শুনে যাচ্ছি,ঐ তুই কোন ইয়ারে পড়িস, জ্বী ফাষ্ট ইয়ারে,,,অামি তোর বড় অাপু বুঝচিস সম্মান তো করতে যানিস না,,,, অামি তো কিছু করিনাই অাপু.....কিছু করিস নাই মানে তাহলে কি তুই বলতে চাস অামি মিথ্যা বলছি,,,ঐ সুমন এদিকে অায় তো,,একটা বড় ভাইয়া এসে অামাকে অনেক অপমান করলো,তারপড় চলে যেতে বললো অার বলল ঐ মেয়ের দিকে যেনো না তাকাই,অামি শুধু জ্বী অাচ্ছা বলে চলে অাসলাম। তারপড় একটা ভাইয়াকে বলে স্কাসটা দেখে নিলাম। অাসলামুয়ালাইকুম স্যার অাসতে পারি,স্যার সালাম নিয়ে বললো কে তুমি তোমাকে তো এই স্কাসে অাগে দেখিনি,অামি নতুন সার, কোন ইয়ারে পড়ো জ্বী ফাষ্ট সার,আসলে এটা honr's 2nd year তোমাকে কেউ বোকা বানিয়েছে,,ফাষ্ট ইয়ারের স্কাস তো ঐ টা।জ্বী ধন্যবাদ সার এসব দেখে অামি পুরাই কেঁদে ফেলেছি,খুব কষ্ট হচ্ছে, যে অামার কোনো বন্ধু নেই যদি থাকতো তাহলে এতো অপমানিত হতে হতো না। তারপড় স্কাসে গিয়ে সবার পিছনে বসলাম, একা কারন আমি সবার থেকে অালাদা,সবার থেকে অামার পোষাক ভিন্নো। প্রথম দিন কোনো স্কাস হলো না শুধু পরিচয় হলো। তারপড় শোযা ম্যাছে চলে অাসলাম, এভাবেই চলে গেলো প্রায় একটি মাস,,,এখনো অামার কোনো বন্ধু হয়নি কলেজে,তবে ম্যাসে বড় ভাইয়ারা আর অত্যাচার করে না,, অনেক ভালো তারা আমি তাদের অনেক কষ্টে বুঝিয়েছি। তারাও অামাকে বুঝেছে,,,তাদের নাম হলো,অাবির, রায়হান,জসিম তারা honr's eপড়ে। তাড়পর সকাল বেলা রেডি হয়ে কলেজে যাচ্ছিলাম হঠাৎ কারো উপড় চোখ পড়তেই...........চলবে কি

next part coming soon

লেখকের ফেসবুক প্রোফাইল রোমান্টিক মারুফ